মধ্য মৌসুমি জাত। ভারতের মালদহ জেলায় জন্মে। দিনাজপুর জেলা এবং নওগাঁ জেলার সাপাহার এলাকায় চাষ শুরু হয়েছে। একবারে গোলাকৃতির। ওজন ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম।
হিমসাগর (নাটোর)
বাংলাদেশে অতি উৎকৃষ্ট জাতের মধ্যে একটি। ফলটি ডিম্বাকার ও মাঝারি আকৃতির। ক্ষিরসাপাত আমের সাথে এই আমটির অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। দেখতে প্রায় একই রকমের ।
অরুনা (হাইব্রিড-১০)
ভারতের মহারাষ্ট্র পৃথিবী খ্যাত একটি আম জন্মে যার নাম আলফনসো।
টিক্কা ফরাশ
মধ্য মৌসুমি জাতের আম। জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পোক্ত হয়। মাত্র ১০-১৫ দিন থাকে। ছোট আকারের এই আমটি সামান্য লম্বাটে। ওজন ১৫০ থেকে ১৭০ গ্রাম।
জহুরী
ভারতের পশ্চিম বাংলায় মালদহ ও মুনসিবাদ জেলায় বেশি চাষ হয়। বাংলাদেশে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সামান্য চাষ হচ্ছে।
তোতাপুরী (ম্যাট্রাস)
তোতাপুরী আমের আকার দুই ধরনের। ছোট এবং বড় । তোতাপুরী (ম্যাট্রাস) সবসময় ছোট হয়ে থাকে। ছোট আকৃতির ওজন ২০০ গ্রাম। বড় আকৃতির তোতাপুরী ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম।
ভাদুরিয়া কালুয়া
নাবি জাতের আম। ভাদ্র মাসেও পাওয়া যায় বলে এরূপ নামকরণ হয়েছে। স্থানীয়ভাবে অনেকে কালুয়া বলে থাকেন। আমটির গড়ন লম্বাটে, ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি।
মিয়ার চারা
আশু জাতের আম। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই পাকতে শুরু করে। মে মাসের ২৫ তারিখের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। ছোট আকৃতির আম। ২ থেকে আড়াই ইঞ্চি লম্বা।
মৌচাক
আশু জাতের আম। আকারে ছোট, দেখতে গোলাকার। পোক্ত হবার আগে ত্বকের রং সবুজ-লালে মেশানো। পাকা অবস্থায় হালকা সবুজ।
নাক ফজলী
মুর্শিদাবাদের নবাবদের পৃষ্ঠপোষকতায় এই আমটি উদ্ভাবিত হয়েছে। অত্যন্ত উন্নতমানের আমটি এখন অবধি বাংলাদেশে শুধু নওগা জেলার বদলগাছি ও ধামইর হাট এলাকায় জন্মে থাকে।
সূর্যপুরী
ঠাকুরগাঁও জেলার উৎকৃষ্ট একটি আম সূর্যপুরী। আমটি প্রায় নাবি জাতের। জুন মাসের শেষ এবং জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে পোক্ত হয়। পুরা জুলাই মাসেই বাজারে পাওয়া যায়।
নীলাম্বরী
নাবি জাতের আম। মাঝারি আকার। ২৫২ থেকে ৩৫০ গ্রাম ওজন। কিছুটা গোলকৃতির, নিন্মাংশ সরু। পাকা অবস্থায় ত্বকের রং সবুজের সাথে হলুদ মেশানো।
গিড়াদাগী
অদ্ভুত নামের এই আমটি মধ্য মৌসুমি জাতের। আমের আকার ছোট। অনেকটা রানিপছন্দ আমের মতো। তবে রানিপছন্দের চেয়ে আকারে সামান্য ছোট।
জমরুদ
আদি জন্মভুমি ভারতের উত্তর প্রদেশে বিহার এবং পশ্চিম বাংলার এই দুই রাজ্যেও চাষ হয়। ক্ষুদ্রাকৃতির আমটি দেখতে লম্বাটে। ক্ষুদ্রাকৃতির আমটি দেখতে লম্বাটে ওজন ১১৫ থেকে ১২৫ গ্রামের মধ্যে।
গৃঠাদাগী
আশু জাতের আম। মাঝারি আকারের । ওজন গড়ে ৩৫০ গ্রমা। লম্বা এবং ধনুকের মতো বেকে শেষের অংশ সরু হয়ে এসেছে। পোক্ত অবস্থায় ত্বকের রং সবুজের সাথে লাল মেশানো।
দুসেহরী
ভারতের উত্তর প্রদেশে, পাঞ্জাব ও বিহার, পাকিস্তানের সিন্ধু ও পাঞ্জাব এই অঞ্চলগুলোতে বিখ্যাত একটি আম জন্মে। নাম দুসেহরী। দুসেহরী আসলে একটি গ্রামের নাম।
ভবানী চরুষ
ভারতের পশ্চিম বাংলার মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলাতে ভবানী চরুষ নামের আমটি জন্মে থাকে।
পোল্লাদাগী
আশু জাতের আম পোল্লাদাগী। আকার মাঝারি। পাকলেও সবুজ থেকে যায়। ত্বক মসৃণ, খোসা মাঝারি, শাঁসের রং গাঢ় হলুদ। শাঁস শক্ত, কেটে খাওয়ার উপযোগী।
ফোনিয়া
নাবি জাতের এই আমটি জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বাজারে আসতে শুরু করে। মাঝারি আকৃতির এই আমটির ওজন ২৫০-২৭৫ গ্রাম। ফলটি দেখতে তির্যকভাবে ডিম্বাকৃতির।
সিন্ধু
মধ্য মৌসুমি জাতের আম। গড়ন মাঝারি, চেহারা গোলগাল। ওজন ২৫০ গ্রাম। পেটের অংশ বেশ মোটা, যেন ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। কাঁচা অবস্থায় গাঢ় সবুজ।
রাংগোয়াই
বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় আমটির চাষ হয়ে থাকে। বীজ বহুভ্রুণী অর্থাৎ একটি আঁটি থেকে অনেকগুলো চারা হয়।
গোবিন্দ ভোগ
উৎকৃষ্ট জাতের এই আমটি সাতক্ষীরা জেলায় বেশি জন্মে। এটি আশু বা আগাম জাতের একটি আম। গোপালভোগ আম মে মাসের মাঝামাঝি পাকা শুরু করে।
দ্বারভাঙ্গা
মধ্য মৌসুমি জাতের আম। জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পাকে। ওজন ১৫০ থেকে ১৮০ গ্রাম। ডিম্বাকৃতির আমটি ত্বক মসৃণ, রং সবুজ, পাকলে হলুদ ।
আলফাজ বোম্বাই
অত্যন্ত উৎকৃষ্ট মানের আশু জাতের একটি আম আলফাজ বোম্বাই। চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এর চাষ অল্প আকারে হয়ে থাকে। রাজশাহীর পুঠিয়া ও নাটোর সদরে সামান্য চাষ হয়।
ফজরীগোলা
অনেকটা নাবি জাতের আম। জুনের শেষ এবং জুলাইয়ের প্রথম পাকা শুরু হয়। আকারে বেশ বড়। গোলাকার এই আমটির ওজন ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম। বোঁটা মোটা এবং শক্ত।
মিছরিদানা
আকারে বড় এই আমটি মধ্য মৌসুমী জাতের। ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রামের মধ্যে ওজন। আকৃতি লম্বা, উধ্বাংশ চওড়া এবং চ্যাপ্টা।
দাদভোগ
আশুজাতের আম। লম্বাটে, আগাগোড়া গোলকার। একেবারে নিচের অংশ ভোঁতা। ছোট আকৃতির এই ফলটির ওজন ২০০ গ্রাম। লম্বায় ৮.১৮ সেন্টিমিটার।
গোলাপ খাস
বাংলাদেশে উন্নত জাতের আমের মধ্যে গোলাপখাস এবং গোবিন্দভোগ সবচেয়ে আশু বা আগাম জাতের আম। মুর্শিদাবাদের নবাবগনের পৃষ্ঠোপোষকতায় এই আমটির উদ্ভাবন ঘটেছে। এদের লালবাগের
আরাজাম
স্থানীয় নাবি জাতের মধ্যে একটি উৎকৃষ্ট আম আরাজম্মা। আড়া অর্থ বনজঙ্গল। বরজঙ্গলের মধ্যে হয়তোবা এই আমের আদি গাছটির জন্ম, যে কারণে নামের এরূপ সাযুজ্য।
দেওভোগ
আশু জাতের আম। মাঝারি আকৃতি। অনেকটা লম্বাটে। পিঠের চেয়ে বুকের অংশ স্ফীত। নিন্মাংশ আংশিক বাঁকানো। পোক্ত হবার সময় হালকা সবুজ, পরিপক্ব অবস্থায় সবুজ হলদে মেশানো রং ধারণ করে।
আমের বাজার দর
ফজলি
হিমসাগর
গোপাল ভোগ
ল্যাংড়া
ক্ষিরসাপাত (জি আই পণ্য)
হাড়িভাংগা
বোগলা গুঠি
লখনা
আম্রপলি
আশ্বিনা
ফজলি কমেন্ট
